সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। চালক ও হেলপারসহ তিন জনের নাম উল্লেখ করে দিরাই থানায় তরুণীর পিতা বাদী হয়ে দিরাই থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রধান আসামী বাস চালক শহীদ মিয়া সিলেটের জালালবাদ থানার মোল্লারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। ইতোমধ্যে পুলিশ সম্ভাব্য কয়েকটি স্থানে ধর্ষণ মামলার আসামীদেরকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। গাড়িচালক ও হেলপারকে হন্যে হয়ে খোঁজছে পুলিশ। আসামীরা গ্রেফতার এড়াতে স্থান পরিবর্তন করায় পুলিশ প্রযুক্তির সহযোগীতা নিচ্ছে পুলিশ। শিগগিরই তারা গ্রেফতার হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কি ঘটেছিল সেদিন?
শনিবার বিকালে সিলেট থেকে বাড়ী যাচ্ছিলেন ঐ কলেজ ছাত্রী। সিলেট দিরাই সড়কের সুজানগর এলাকায় বাসের সকল যাত্রী নেমে যাওয়ার সুযোগে মেয়েটিকে একা পেয়ে চলন্ত বাসে ধর্ষণের চেষ্টা করে বাস চালক ও হেলপারসহ অন্যরা। এসময় মেয়েটি গাড়ি জানালা দিয়ে লাফ দিলে সড়কে পড়ে গুরুতর আহত হয়। আহত কলেজছাত্রীকে রাস্থার পাশে পরে থাকতে দেখে উদ্ধার করে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয় স্থানীয়রা।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই তরুণী পুলিশের কাছে সেদিনের ঘটনা জানিয়েছেন। সেদিন তাকে বাসের ভেতরে একাধিকবার চুলে ধরে টানাহেচড়া করে ধর্ষণেরচেষ্টা চালায় বাস চালক শহীদ। এসময় শহীদ ওই কলেজ ছাত্রীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। তরুণী একাধিকবার বাঁচার জন্য চলন্ত বাস থেকে লাফ দেয়ার চেষ্টা করলেও দরজায় বন্ধ করে রাখে হেলপার। এসময় শহীদ চুল ধরে বার বার ওই তরুণীকে বাসের ভেতরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে ওই তরুণী বাসের গ্রীল ধরে দরজা দিয়ে লাফ দিয়ে রাস্তা পড়ে যান। পরে দ্রুত গতিতে বাসটি নিয়ে যাওয়া হয় সুনামগঞ্জে।