ভিন্ন খবর

আকিবুকি আর ব্যানার শিল্প দেবে পদ্মা সেতুর নতুন রূপ!

২০২২ সালে খুলে দেয়া হবে দেশের অন্যতম স্থাপনা পদ্মা সেতু। এটাতো যেমন তেমন সেতু নয়! তাই সেতুর পিলারে পিলারে বিভিন্ন চিহ্ন আকিবুকি করে সংস্কৃতিকে চিরস্থায়ী করার চেষ্টা চলছে শিল্পীদের!

সেতুর কয়েকটি পিলার পদ্মার চর এলাকায়। ট্রলার-স্পিডবোট নিয়ে অনেকেই এসব চরে বেড়াতে আসেন। মূলত ছুটির দিনে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও শরীয়তপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে ছোট ছোট দল এসে পদ্মার চরে চড়ুইভাতি করে। তারা পিলারের কাছে ছবি তোলেন। তারাই এ ধরনের আঁকিবুকি করেন। লিখে রাখেন তাদের অমর কীর্তি! ভালোবাসার মানুষের নামও। যতদিন রবে পদ্মা সেতু ততদিন রবে তাদের নাম!

হয়তো হাজার বছর পর পদ্মা সেতু আবিষ্কার হলে তখনকার মানুষ এসব আকিবুকি নিয়ে গবেষণা করবে। আর কি চিহ্ন দিয়ে কি বুঝানো হয়েছে তা নিয়ে গবেষকরা দলবেধে অনুসন্ধান চালাবে! আর ভাববে আমাদের পূর্ব পুরুষরা কত সংস্কৃতিমনা ছিল!

তবে এতে বাধ সাধতে চায় কর্তৃৃপক্ষ। পদ্মা সেতুর পিলারের গায়ে আঁকিবুকি বন্ধে কঠোর হচ্ছে সেতু কর্তৃপক্ষ। সেতুর প্রকৌশলীরা বলছেন, সেতুর স্থাপনায় লেখালিখি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তারপরও দর্শনার্থীরা এই কাজ করছেন।

এসব আকিবুকি হয়তো রং করে বা আস্তর দিয়ে মুছে ফেলা যাবে! কিন্তু পোস্টার-ব্যানার শিল্পের কি হবে? আমাদের দেশের যেকোন স্থাপনা যত সুন্দরই হোকনা কেন তাতে পোস্টার ব্যানার না টানালে যেন মন ভরেনা। এইতো সিলেটের কথাই ধরুন। কোর্ট পয়েন্টে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত কত কষ্ট করে ফুট ওভার ব্রীজ বানালেন। কিন্তু তা আজ ব্যানার পোস্টার টানানোর কাজে ব্যবহার হচ্ছে। পদ্মা সেতুকেও ব্যানার পোস্টারে সাজানো হবে না ভাবলে ভুল হবে হয়তো। তাই ভবিষ্যতবিদদের কল্পনায় ধরা দিয়েছে পদ্মা সেতুর সেই দৃশ্য। ব্যানারে পোস্টারে সেজেছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু! ফেইসবুক জুড়ে সেই ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে। হয়তো বেশিদিন নয় বাস্তবেও আমরা তা দেখতে পাবো।

আরও সংবাদ

Close