সারা বাংলা

পুড়ে ছাই এতিমখানা : কর্তৃপক্ষের অভিযোগ আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

লক্ষ্মীপুরে আগুনে একটি এতিমখানার খাবারঘরসহ আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ দাবি করছে।

শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোরে সদর উপজেলার মান্দারীর যাদৈয়া গ্রামের মাওলানা আহম্মদ উল্লাহ মাদরাসা কমপ্লেক্স ও এতিমখানায় এ ঘটনা ঘটে।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, ভোরে প্রতিদিনের মতো মাদরাসা শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ফজরের নামাজের জন্য ঘুম থেকে ওঠেন। এ সময় খাবার ঘরে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। এর আগে মাদরাসার বাইরে অজ্ঞাত মানুষের কথাবার্তাও শোনা যায়।

পরে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় শিক্ষকরা আগুন নেভাতে চেষ্টা করেন। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম মাদরাসায় এসে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

তবে এর আগেই চাল-তরকারি, ফ্রিজ ও আসবাবপত্রসহ খাবার ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মাদরাসার নিরাপত্তা দেয়ালের ওপর থেকে পেট্রল ঢেলে আগুন দেওয়া হয় বলে দাবি করেছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানের পার্শ্ববর্তী সাইফ উদ্দিন, আবদুল মালেকদের সঙ্গে রাস্তা নির্মাণ নিয়ে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। সাইফ উদ্দিনরা মাদরাসার জমির ওপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করার চেষ্টা করেন। এতে বাধা দিলে মাদরাসা পরিচালক মনিরের ওপর একাধিকবার হামলা চালানো হয়।

এছাড়া মাদরাসার দুটি গাছ রাস্তা নির্মাণের জন্য সাইফ উদ্দিনরা জোরপূর্বক কেটে ফেলেন। এসব ঘটনায় মাদরাসার পরিচালক মনির বাদী হয়ে আদালতে দুটি মামলা করেন। ইতোমধ্যে আদালতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেসটিগেশন (পিবিআই) একটি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে।

মাদরাসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, কে বা কারা আগুন দিয়েছে আমরা দেখিনি। তবে রাস্তা নির্মাণ নিয়ে সাইফ উদ্দিন ও আবদুল মালেকদের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে শত্রুতার জের ধরে তারাই আগুন লাগিয়েছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে সাইফ উদ্দিন বলেন, আমি ঢাকায় আছি। মাদরাসায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি আমার জানা নেই। আমরা মাদরাসা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে টাকা পাই। ওই টাকা চাওয়ায় আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে মিথ্যা অভিযোগ আনছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।

আরও সংবাদ

আরও দেখুন

Close
Close