সারা বাংলা
প্রেমিককে ছেড়ে ফিরতে চান স্বামীর ঘরে : স্বামী দাবিদার ২ জন আদালতে
একজন পুরুষকে দুইজন নারী স্বামী হিসেবে দাবি করা কথা হয়তো অনেকই শুনেছেন। কিন্তু এক নারীকে স্ত্রী হিসেবে দাবি করেছেন দুইজন পুরুষ- এমন কথা কি কখনো শুনেছেন? অবাক শোনালেও এমনটাই ঘটেছে চাঁদপুরে। এমনকি এই সমস্যার সমাধনের জন্য আদালতের দারস্থ হতে হয়।
২৮ ডিসেম্বর, সোমবার এই ঘটনার সমাধান হয় আদালতে। ওই নারী প্রথম স্বামীর ঘরে ফিরে যান। আর দ্বিতীয় স্বামীকে কারাগারে পাঠায় আদালত।
কুমিল্লার দাউদকান্দি দক্ষিণ নসিবদী গ্রামের প্রবাসী বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে ২০১৩ সালে চাঁদপুর মতলব উত্তরের গালিম গাঁ গ্রামের শাহিদুন আক্তারের (২৩) বিয়ে হয়। তাদের দুজনের দুই মেয়ে ও এক ছেলেও রয়েছে। এর মধ্যে জীবিকার সন্ধানে কাতার চলে যান বিল্লাল।
জানা গেছে, শাহিদুন আক্তার স্বামীর বিল্লাল হোসেনের অনুপস্থিতিতে মো. সাকিবের (২৬) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তিন সন্তান নিয়ে প্রথম স্বামীর ঘরও ছাড়েন তিনি। আর সাকিবের সঙ্গে নতুন সংসার শুরু করেন। এই কারণে গত নভেম্বরে কাতার থেকে দেশে ফেরেন বিল্লাল। দেশে ফিরেই নিখোঁজ স্ত্রীর সন্ধানে দাউদকান্দি থানায় মামলা করেন তিনি। এরপর গত রবিবার শ্বশুর বাড়িতে খোঁজ মেলে স্ত্রী শাহিদুন আক্তারের। এ সময় তার ‘দ্বিতীয় স্বামী’ সাকিবও সঙ্গে ছিলেন।
আরো জানা গেছে, এ সময় স্ত্রীকে উদ্ধার করতে মতলব উত্তর থানা পুলিশের সহায়তা চান প্রবাসী বিল্লাল হোসেন। এরপর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শাহিদুন আক্তার ও মো. সাকিবকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তবে থানাতে প্রথম স্বামীর সঙ্গে যাবেন না বলে জানান শাহিদুন আক্তার। অনেক চেষ্টা করেও থানায় সমাধান না হলে আদালতে গড়ায় বিষয়টি।
২৮ ডিসেম্বর, সোমবার বিকেলে চাঁদপুরের বিচারিক হাকিম মো. হাসানুজ্জামানের আদালতে শাহিদুন আক্তার ও মো. সাকিবকে হাজির করা হয়। এ সময় ফৌজদারি কার্যবিধির ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন শাহিদুন আক্তার।
কিন্তু আদালতে শাহিদুন আক্তার জানান, বিয়ে নয়। কুমিল্লার হোমনা উপজেলার চান্দেরচর গ্রামের সাকিবের সঙ্গে মুঠোফোনে সম্পর্ক হওয়ার পর ঢাকায় গিয়েছিলাম। একসঙ্গে বেশকিছু দিন থেকেছিও। এখন সন্তানদের বাবা বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে যেতে চাই।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার ওসি নাসিরউদ্দিন মৃধা জানান, আদালত শাহিদুন আক্তারের কথায় সন্তুষ্ট হয়ে তাকে মুক্তি দিয়েছেন। আর সাকিবকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ সাকিব আদালতে তাদের বিয়ের কোনো প্রমাণপত্র দেখাতে পারেননি।