আজকের সিলেট

কানাইঘাটে ধর্ষণের শিকার তিন সন্তানের জননী বাড়িছাড়া

সিলেটের কানাইঘাট উপজে’লায় ধর্ষণের শিকার তিন সন্তানের জননী ভিটেছাড়া হয়েছেন। ধর্ষকের হুমকির মুখে বাড়ি ছাড়া হয়েছেন তিনি। আশ্রয় নিয়েছেন বাপের বাড়িতে।

বোরকা পড়ে ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধর্ষণ করার পর এখন বিষয়টি গোপন রাখতে হুমকি দিয়ে আসছে ধর্ষক। উপায়ন্তর না দেখে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিন সন্তানের জননী। এ ঘটনার কানাইঘাট থা’নায় একটি মা’মলা হয়েছে।

মা’মলার বিবরণ অনুযায়ী এবং ভিকটিম নারী ও তার পরিবারের বক্তব্য থেকে জানা যায়, উপজে’লার আগতালুক গ্রামের মৃ’ত শাহাব উদ্দীনের ছে’লে জুবায়ের হাসান শিপু (২৭) গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার দিকে বোরকা পরে ওই নারীর ঘরের দরজা কে’টে ভেতরে প্রবেশ করে। এর পর প্রা’ণে মা’রার ভ’য় দেখিয়ে ওই নারীকে ধ’র্ষণ করে।

ধ’র্ষণের পর যাওয়ার সময় বিধবা নারীর মোবাইল নম্বর নিয়ে যায় অ’ভিযু’ক্ত জুবায়ের এবং হু’মকি দিয়ে যায় যে, ঘটনাটি যাতে জানাজানি না হয়। পরের দিন ফোন করে বলে সে আবারো আসবে। সুযোগ না দিলে বড় ধরণের ক্ষতি করবে। ভ’য়ে ভিকটিম নারী স্বামীর ভিটা ছেড়ে বাপের বাড়ি একই ইউনিয়নের গণিকান্দি গ্রামে চলে যান।

ভিকটিমের ভাই জানান, তার ৩১ বছর বয়সী বোনের ১১ বছর বয়সী একটি মে’য়ে, ৮ ও ৪ বছর বয়সী দুইটি ছে’লে রয়েছে। ছোট ছে’লেকে মাত্র কয়েক মাসের রেখে প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে মা’রা যান স্বামী। ঘটনার রাতে বিধবা নারীর তিন সন্তানের বড় দুই জন ছিল তাদের মামা’র বাড়িতে। এই সুযোগে জুবায়ের ধারালো দেশীয় অ’স্ত্রের ভ’য় দেখিয়ে ধ’র্ষণ করে।

ঘটনার পরের দিন ভিকটিম নারী কানাইঘাট উপজে’লা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখাকার কর্তব্যরত চিকিৎসকদের পরাম’র্শে তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লে যান। সেখানে থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে তিন সন্তানের জননী বিধবা এই নারী এখনো তার বাপের বাড়িতে অবস্থান করছেন।

ঘটনাটি জুবায়েরের চাচা নুরুদ্দিন, জসীম মৌলভী, স্থানীয় মুরব্বী মা’ওলানা আব্দুল আজিজ, মেম্বার বদরুল ইস’লামসহ অন্যদের জানানো হয়। অ’ভিযোগ রয়েছে, ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।

এ ব্যাপারে মা’ওলানা আব্দুল আজিজ বলেন, ‘আমি ছিলাম বরিশাল। শুনেছি এ রকমের একটি ঘটনা ঘটেছে। আম’রা বৈঠকে বসবো, তারপর আপনাদেরকে জানাবো। বিধবা নারীটি খুবই অসহায় ও গরীব এবং বাপের বাড়ির উপর নির্ভরশীল হলেও ভালো চরিত্রের অধিকারী।”

জুবায়েরের চাচা নুরুদ্দিন বলেন, এটা ষড়যন্ত্রমূলক। জুবায়ের এ ব্যাপারে দোষী নয়। ফাঁ’সানোর জন্য একটি সাজানো মা’মলা দায়ের করা হয়েছে।

এদিকে, ঘটনার ১২ দিন অ’তিবাহিত হলেও আসামী এখনো গ্রেফতার হয়নি। পু’লিশ আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে। পুলিশ বলছে,  শিগগির আসামীকে গ্রেফতার করা হবে।

আরও সংবাদ

Close