শীর্ষ খবর

ফেসবুকে কাদের-পাপনের নামে শত শত ভুয়া একাউন্ট

ফেসবুক জুড়ে এখন ফেক আইডির ছড়াছড়ি। এতোদিন সাধারণ মানুষের নামে ভুয়া আইডি তৈরী করলেও এখন জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে খেলোয়াড়, রাজনীতিবিদ, অভিনেতাসহ সেলিব্রেটিদের নামে ভুয়া একাউন্ট বেড়েই চলেছে।

ঘরের মাঠে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে খর্বশক্তির উইন্ডিজের কাছে ধোলাই হওয়ার পর থেকে তীব্র সমালোচনার মুখে আছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। শুধু ক্রিকেটাররাই নন, বোর্ডের কর্মকর্তাদের নিয়েও বিস্তর ঠাট্টা-তামাশা হচ্ছে। ‘নতুন উপসর্গ’ হিসেবে দেখা দিয়েছে বিসিবি কর্মকর্তা আর কয়েকজন ক্রিকেটারের নামে অসংখ্য ফেক আইডি তৈরি। বিভিন্ন খেলাবিষয়ক ফেসবুক পেইজে এসব আইডি থেকে কমেন্ট করা হচ্ছে।

সবচেয়ে বেশি ফেসবুক আইডি তৈরি করা হয়েছে বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপনের নামে। বাংলা ও ইংরেজিতে ‘নাজমুল হাসান পাপন’, ‘নাজমুল হাসান পাপন এমপি’, ‘আসল নাজমুল হাসান পাপন’ ইত্যাদি নামে ফেক আইডিগুলো তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়াও আছেন বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। জাতীয় দলের সাবেক এই মিডিয়াম পেসারের নামের সঙ্গে ‘গতিদানব’ যুক্ত করে অনেক আইডি খোলা হয়েছে। সীমিত আকারে হলেও আকরাম খানও বাদ যাননি।

ক্রিকেটারদের মাঝে সবচেয়ে বেশি ফেক আইডি খোলা হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্ত আর মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে। উইন্ডিজ সিরিজে পুরোপুরি ব্যর্থ এই দুই ক্রিকেটার নিউজিল্যান্ড সিরিজেও আছেন। তাদের নিয়ে ‘স্যার লর্ড নাজমুল হাসান শান্ত’ কিংবা ‘স্যার মিথুন আলী’ নামের অসংখ্য ফেক অ্যাকাউন্টে ফেসবুক সয়লাব। উল্লেখ্য, জাতীয় দলের প্রায় সব ক্রিকেটারের ফেসবুক আইডি ভেরিফায়েড। এর বাইরেও বিভিন্ন ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে তাদের নামে তৈরি করেছে ফেক আইডি।

এতগুলো ফেক আইডির ঘটনা বিসিবির নজরেও এসেছে। সম্প্রতি বিসিবি জানিয়েছে, এই বিষয়ে তারা আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর মধ্যে কিছু আইডি বন্ধও করা হয়েছে। দেশ ও বিদেশ থেকে এসব ফেক আইডি তৈরি করা হয়। এ ছাড়া বিসিবি নিশ্চিত করেছে যে, নাজমুল হাসান পাপন কিংবা খালেদ মাহমুদ সুজনের ফেসবুক আইডি নেই। তার মানে, ফেসবুকে যা আছে সবই ফেক। শান্ত আর মিঠুন উভয়ের পেইজ ফেসবুক ভেরিফাইড করে দিয়েছে।

শুধু খেলোয়াড় নয় ফেসবুকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ অনেক এমপি মন্ত্রীদের নামেও শত শত ভুয়া একাউন্ট খুলা হয়েছে। এসব একাউন্ট থেকে বিভিন্ন পোস্টে নানা রকম অপ্রীতিকর মন্তব্য করছে তারা। শিগগির এসব ভুয়া একাউন্ট বন্ধে সরকারের ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

আরও সংবাদ

Close