শীর্ষ খবর

মে-জুন নাগাদ ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশের মানুষ

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, চীনের সিনোভ্যাক নামে একটি কোম্পানির ভ্যাকসিন বাংলাদেশে ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছে সরকার৷ আইসিডিডিআরবির সহযোগিতায় এই ট্রায়াল হবে।

বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য সেবায় জড়িত যারা স্বেচ্ছায় আসবে, সিনোভ্যাকের করোনা ভ্যাকসিন ট্রায়ালে আগ্রহী হবে তাদেরকেই অনুমতি দেওয়া হবে। তবে ডিসেম্বর-জানুয়ারির আগে দেশের বাজারে ভ্যাকসিন আসবে না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে যেসব দেশ কাজ করছে সবার সঙ্গেই আলোচনা হয়েছে। চীন যেহেতু সবার আগে প্রপোজ করেছে, তাই তাদের ভ্যাকসিন সবার আগে ট্রায়ালের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। চীনের এই কোম্পানি যত দ্রুত শুরু করবে, আমরা তখনই ট্রায়াল শুরু করবো।

‘বাংলাদেশে চায়নার সিনোভ্যাক ভ্যাকসিন ট্রায়াল করতে চায়। ১ লাখ ইউনিট ফ্রি দেবে চায়না। বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন পেতে অগ্রাধিকার দেওয়ার শর্ত দেওয়া হয়েছে। যারা স্বেচ্ছায় আসবে তারা চায়নার সিনোভ্যাকের ট্রায়ালে অংশ নিতে পারবে৷’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যে ভ্যাকসিন আগে আসবে সে ভ্যাকসিন আগে গ্রহণ করা হবে। ট্রায়াল অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবক যত পাওয়া যাবে তার উপর সংখ্যা নির্ধারিত হবে। ভারত অনুমতি চাইলে তাদেরও দেওয়া হবে।

ডিসেম্বর-জানুয়ারির আগে ভ্যাকসিন আসবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আশা করছি আগামী বছরের মে-জুন নাগাদ সাধারণ মানুষ ভ্যাকসিন পাবে। বাংলাদেশের বেক্সিমকো, বিকনসহ দেশি কোম্পানিগুলো আগ্রহ দেখাচ্ছে।

চীনের যে দুটি প্রতিষ্ঠান করোনা ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়ালে যেতে পেরেছে তার একটি সিনোভ্যাক৷ বাংলাদেশে বড় আকারের পরীক্ষা চালানোর আগ্রহ প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি। গত ১৯ জুলাই এই ভ্যাকসিন বাংলাদেশে ট্রায়ালের জন্য নৈতিক অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি)। এরপর আইসিডিডিআরবিতে এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালানোর কথা ছিল। এমনকি ঢাকার চীনা রাষ্ট্রদূত এই ট্রায়ালে টিকা গ্রহণকারী প্রথম ব্যক্তি হতে চেয়েছিলেন৷

আরও সংবাদ

Close