আজকের সিলেট
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সিলেটের ৬ স্থলবন্দরে সতর্কতা
প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনার সংক্রমণ যেন এক সুনামী। প্রতিদিন পুরাতন রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়ছে শনাক্ত আর মৃত্যুর সংখ্যা। ভারতের শনাক্ত হওয়া ডাবল ভ্যারিয়েন্ট যদি বাংলাদেশে প্রবেশ করলে দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। ভারতের ডাবল ভ্যারিয়েন্ট যেন দেশে না ঢুকে, সে জন্য সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ অবস্থায় সিলেটের ছয়টি স্থলবন্দরে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ভারত থেকে আটকে পড়া কোনো বাংলাদেশি নাগরিক স্থলবন্দর দিয়ে ফিরলে তাকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। গত ২২ এপ্রিল এক আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, গত এক বছরে সিলেটের গোয়াইনঘাটের তামাবিল স্থলবন্দর হয়ে সিলেটে আসেন ৪ হাজার ২১ জন। বিয়ানীবাজারের সুতারকান্দি স্থলবন্দর দিয়ে আসেন ১ হাজার ২০ জন। সিলেটের জকিগঞ্জ স্থলবন্দর দিয়ে আসেন ১ হাজার ১৬০ জন। হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের বাল্লা স্থলবন্দর আসেন ২২০ জন। মৌলভীবাজারের জুড়ীর ফুলতলা (বটুনী) স্থলবন্দর দিয়ে ১৮৯ জন। কুলাউড়া চাতলা স্থলবন্দর দিয়ে আসেন ৯৮০ জন।
সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক সহকারী পরিচালক মো. আনিসুর রহমান বলেন, সিলেট বিভাগের স্থলবন্দর দিয়ে কেউ ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে তাকে অবশ্যই সরকারের নির্দেশনা অনুসারে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এ জন্য স্থলবন্দরগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত ২২ এপ্রিল এক আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে চলমান লকডাউনে বিদেশ থেকে প্রবাসী নাগরিকরা ফেরার পর কোয়ারেন্টিনের বিষয়ের আলোচনা হয়। এসময় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, লকডাউনে ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকরা স্থলবন্দর দিয়ে দেশে আসতে পারবেন।
তবে ফেরার পর তাদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন তাদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করবে। ভারতে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় দেশ থেকে ফেরার পর কোয়ারেন্টিন জোরালো করতে চায় সরকার। সে কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।