একের পর এক ইতিহাস গড়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতেই এই ফরমেটে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর স্বাদ পেয়েছিল টাইগাররা।
সেই ইতিহাসের পাতায় নতুন রেকর্ড যোগ হয় টানা দ্বিতীয় জয়ে। সামনে ছিল প্রথমবারের মত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যে কোনো ফরমেটে সিরিজ জয়ের হাতছানি। সেই ইতিহাসও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল গড়ে ফেলল দুই ম্যাচ হাতে রেখেই।
সিরিজের তৃতীয় টি-টুয়েন্টিতে টস জিতে স্লো প্লিচে আগে ব্যাট করে লড়াকু পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০ ওভারে ১২৭ রানে অলআউট হয়েছে স্বাগতিকরা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
মিরপুরে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে তারা। প্রথম দুই ম্যাচের মতোই এ ম্যাচেও ব্যর্থ হয়েছেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও সৌম্য সরকার।
দলীয় ৩ রানেই পরপর দুই বলে আউট হন এ দুইজন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে হ্যাজেলউদের করা শেষ বলে আউট হন নাঈম। এরপর তৃতীয় ওভারে অ্যাডাম জাম্পার করা প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন সৌম্য।
তৃতীয় উইকেটে হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব। এ দুইজন করেন ৪৪ রানের জুটি। ইনিংসের নবম ওভারে জাম্পার বলে সাকিব আউট হলে ভাঙে তাদের জুটি। ১৭ বলে ২৬ রান করে আউট হন সাকিব।
দলীয় ৪৪ রানে সাকিব আউট হওয়ার পর মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে হাল ধরেন আফিফ। জুটি গড়ার সঙ্গে সঙ্গে মনযোগ দেন রান রেট বাড়ানোর দিকেও। তবে রান আউটে থামেন তিনি। তাতে ভাঙে মাহমুদউল্লাহ ও তার ২৯ রানের জুটি। এরপর দ্রুত ফিরে যান শামিমও।
নুরুল হাসান সোহান এসে ঝড়ো ব্যাটিংয়ের ইঙ্গিত দিলেও বেশিদূর যেতে পারেননি। তিনিও সাজঘরে ফেরেন দূর্ভাগ্যজনক রান আউট হয়ে। এক ছক্কায় সোহান করেন ৫ বলে ১১ রান।
দীর্ঘ সময় ক্রিজে টিকে থেকে দলকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন মাহমুদউল্লাহ। ৫২ বলে করেন অর্ধশতক, যদিও এটি বাংলাদেশের জার্সিতে টি-টুয়েন্টিতে সবচেয়ে ধীরগতির অর্ধশতক। শেষ ওভারের চতুর্থ বলে অর্ধশতক হাঁকানোর ঠিক পরের বলেই আউট হন তিনি।
শেষ দুই বলে মোস্তাফিজুর ও মেহেদী হাসানকে আউট করে অভিষেক ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব অর্জন করেন অজি পেসার নাথান এলিস।