খোলা জানালা

২০২০, আমাদের মুক্তি দাও

২০২০ সাল যাই যাই করছে। পৃথিবীর সব মানুষ পারলে অনেক আগেই এটাকে ঠেলে বিদায় করে দিত! কারণটা সবাই জানে, করোনাভাইরাস এখন সবার নার্ভের ওপর চেপে বসে আছে। মার্চ-এপ্রিলের দিকে এটা প্রথমবার হামলা করেছে। সবাই কোনোভাবে সেই হামলা সামলে নিঃশ্বাস ফেলার আগেই দ্বিতীয় হামলা- মনে হচ্ছে আগের থেকেও বেশি তেজি হয়ে ফিরে এসেছে। তার মাঝে খবর পাওয়া যাচ্ছে ধুরন্ধর ভাইরাস তার রূপ বদল করে আরও বেশি সংক্রামক হয়ে যাচ্ছে। একেই নিশ্চয়ই বলে গোদের ওপর বিষফোড়া! (আজকাল গোদও দেখা যায় না, বিষফোড়ার কথাও শুনি না। কাজেই এই বাংলা প্রবাদটা পাল্টে এখন মনে হয় ‘করোনার ওপর ডেঙ্গু’ এই ধরনের একটা কথা চালু করা যেতে পারে!)
২০২০ সাল যখন প্রথম এসেছিল তখন সেটার ওপর আমাদের অনেক আস্থা ছিল। সংখ্যাটাই ছিল সুন্দর ছন্দময় একটা সংখ্যা ২০২০। যখন চোখের দৃষ্টি নিখুঁত হয় সেটাকে ২০২০ ভিশন বলা হয়। আমাদের জন্যও সেটা বিশেষ একটা বছর ছিল, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী। তার জন্মদিন ১৭ মার্চ একটা রক্তদান কর্মসূচিতে হাজির থেকে সেই যে ঘরে ঢুকেছি আর বের হতে পারিনি। ভাগ্যিস এই করোনার দুঃসময়ের কারণে অনেক অনুষ্ঠান পিছিয়ে নেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করার জন্য আরও নয় মাসের সময় নেওয়া হয়েছে। পৃথিবীর জন্যও বছরটির ভালো অবদান খুব বেশি নেই। ডোনাল্ড ট্রাম্প নামের মানুষটি ইলেকশনে হেরেছে সেটি ভালো একটা খবর হতে পারত, কিন্তু সেই দেশের প্রায় অর্ধেক মানুষ বর্ণবাদী। তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভক্ত জানার পর স্বস্তি পাওয়ার সুযোগ কোথায়? শুধু তাই না, পৃথিবীর বড় বড় দেশ যে আসলে ভুয়া ধরনের এবং প্রচণ্ড স্বার্থপর- সেটাও এই ধাক্কায় টের পাওয়া গেছে। তারা ভাইরাসের টিকা প্রয়োজন থেকে অনেক বেশি শুধু যে কিনে রেখেছে তাই নয়, সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। বেছে বেছে দরিদ্র এবং বুড়ো মানুষদের রীতিমতো অবহেলায় মারা যেতে দিয়েছে! (বুড়ো মানুষদের অবহেলার ব্যাপারে আমাদের দেশ খুব পিছিয়ে আছে সেটাও বলা যাবে না। এই দেশেও জ্বর উঠেছে বলে একটা আস্ত পরিবার জঙ্গলে তাদের মাকে ফেলে চলে গিয়েছিল। এ রকম অমানবিক উদাহরণ সারা পৃথিবী খুঁজেও আরেকটি পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ।)
২০২০ বছরটিকে আমাদের দেশের জন্য একটা দুঃখের বছর বলা যায়। পৃথিবীর হিসাবে, আমাদের দেশে করোনায় খুব বেশি মানুষ মারা যায়নি কিন্তু প্রিয় মানুষের মৃত্যুর হিসাবে এই বছরটি রীতিমতো একটি অভিশপ্ত বছর হিসেবে থেকে যাবে। শুধু যে প্রিয় মানুষেরা মারা গেছেন তা নয়, তাদের মৃত্যুর পর আমরা যে তাদের জন্য আমাদের ভালোবাসাটুকু দেখাব সেটাও সম্ভব হয়নি। অনেকেই হয়তো সরাসরি করোনায় মারা যাননি কিন্তু করোনার কারণে ঠিকভাবে চিকিৎসা নিতে না পেরে মারা গেছেন, দায়টুকু ঘুরেফিরে করোনাকেই নিতে হবে।
২০২০ সালের করোনাকালে যে ভালো কিছু একেবারেই ঘটেনি তা নয়। কে জানত পুরোপুরি ঘরে আটকা থেকেও ইন্টারনেটে এত রকম মিটিং করা যায়! আমি নিজের দেশে তো বটেই, পৃথিবীর আরও কত দেশে যে কত রকম মিটিং করেছি, কত বক্তৃতা দিয়েছি সেটা বলে শেষ করা যাবে না। তবে সমস্যা হচ্ছে অল্প কয়জনের মিটিং হলে মোটামুটি চালিয়ে নেওয়া যায়, কিন্তু যখন দাবি করা হয় যে এটা পাবলিক মিটিং, অনেকে দেখছে কিন্তু আসলে আমি ল্যাপটপের নির্বোধ ক্যামেরা ছাড়া আর কিছু দেখছি না, সেটা আমার জন্য গ্রহণ করা কঠিন।
কাজেই ২০২০ সালকে শুধু গালাগাল করা মনে হয় ঠিক হবে না। এই বছরের করোনার সময় দেশের অনেক মানুষের ভেতরকার শুভ বোধগুলো নতুন করে প্রকাশ পেয়েছে। অন্যকে সাহায্য করার জন্য কত ভিন্ন ধরনের কাজ মানুষ করেছে, সেগুলো দেখে মানুষের মনুষ্যত্ববোধের ওপর নতুন করে বিশ্বাস ফিরে এসেছে।

২.
২০২০ সাল নিরবচ্ছিন্নভাবে একটি খারাপ বছর নয়, কিন্তু এই বছরে আমাদের দেশের দুটি ঘটনা আমার গায়ে জ্বালা ধরিয়ে গেছে। দুঃখটা অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে দেখি যে মানসিক যন্ত্রণা একটুখানি হলেও কমানো যায় কিনা।
প্রথমটি সবাই নিশ্চয়ই অনুমান করতে পারবেন, সেটি হচ্ছে হেফাজতে ইসলামের নেতাদের ভাস্কর্য নামে শিল্পের একটি বিশেষ ধারার বিরুদ্ধে হুঙ্কার। দেশে এটা নিয়ে একটা বিশাল প্রতিক্রিয়া হয়েছে, কিন্তু আমার জানার কৌতূহল হচ্ছে, যদি এটা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য না হয়ে সাধারণ ভাস্কর্য হতো তাহলে প্রতিক্রিয়াটা কী রকম হতো। হেফাজতের নেতৃবৃন্দের নানা ধরনের কাজকর্ম দেখে আমি মোটেই অবাক হই না। আলাদাভাবে আমার বিরুদ্ধে তাদের এক ধরনের বিশেষ ক্রোধ আছে আমি সেটাও জানি। কোনো একটি প্রতিষ্ঠান ভূমিকম্পের সময়ে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হয়, সে সম্পর্কে কিছু কথা লিখে আমার একটা বিশাল ছবিসহ সিলেট শহরের মোটামুটি কেন্দ্রস্থলে একটা বিলবোর্ড তৈরি করে টানিয়ে রেখেছিল। একদিন হেফাজতের একটি মিছিল সেটাকে টেনে নামিয়ে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলল। ২০১৩ সালের ৫ মে গভীর রাতে হেফাজতের একজন কর্মী আমাকে একটা এসএমএস পাঠিয়ে জানিয়েছিল, আজ রাতে প্রধানমন্ত্রীসহ আমাদের সবাইকে জবাই করা হবে। সেই এসএমএসটিতে একটা টেলিফোন নাম্বারও দেওয়া ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেই এসএমএস কিংবা টেলিফোন নাম্বারটিতে আগ্রহ আছে কিনা আমার জানা নেই। অতিসম্প্রতি যখন আমাদের বাংলাদেশের গণমাধ্যমে হঠাৎ করে হেফাজতের এই নেতাদের বাড়বাড়ন্ত সমাদর করে তাদের সব ধরনের অনুষ্ঠানে ডাকাডাকি শুরু হলো তখন আমি আবার আমার নামটি দেখতে পেলাম। তারা আলাদাভাবে আমার সম্পর্কে নানা ধরনের বক্তব্য রেখে যাচ্ছে, ইসলামের দৃষ্টিতে এই ধরনের বক্তব্য রাখা যায় কিনা সেটি নিয়েও কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। সেই ধরনের বক্তব্য জঙ্গিদের সেই মানুষটিকে খুন করে ফেলতে উৎসাহী করে, কিন্তু তাতে কী আসে যায়? হয়তো সেটাই সত্যিকারের লক্ষ্য। ডোনাল্ড ট্রাম্প সারা পৃথিবীকে দেখিয়েছেন যে ভালো-খারাপ বলে কিছু নেই, ক্রমাগত টেলিভিশনে কিংবা সংবাদমাধ্যমে হেডলাইন হয়ে থাকতে হবে, তাহলেই কাজ উদ্ধার হয়ে যাবে। হেফাজতের ভাস্কর্যবিরোধী নেতারা সেটা ভালোভাবে জানেন এবং আমাদের সংবাদমাধ্যম তাদের ফাঁদে পা দিয়ে ক্রমাগত তাদের গুরুত্ব দিয়ে খবর পরিবেশন করে যাচ্ছে! এখন সবাই তাদের চেনে।
আমার এই বিষয়গুলোর কোনোটি নিয়েই বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। আমি শুধু বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাইছে! প্রধানমন্ত্রীর দেখা পায়নি কিন্তু তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেখা পেয়েছে। অন্য কেউ এভাবে বঙ্গবন্ধুর অবমাননা করলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার করা হতো, কিন্তু হেফাজতের নেতারা বঙ্গবন্ধুর অবমাননা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিজের হাতে আমাদের দেশের আদর্শ এবং সংস্কৃতিবিরোধী দাবি-দাওয়া দিয়ে আসতে পেরেছে। কী অবিশ্বাস্য একটি ব্যাপার! নিজের চোখে দেখেও বিশ্বাস হয় না যে তাদের এই দেশে এভাবে মাথায় তুলে রাখা হয়।
৩.
দ্বিতীয় যে বিষয়টি নিয়ে আমি এক ধরনের যন্ত্রণার ভেতর দিয়ে যাচ্ছি, সেটি নিয়ে দেশে খুব একটা আলোচনা হয়নি। যদিও তার কারণটি আমি বুঝতে পারছি না। সারা পৃথিবীর জ্ঞানসূচকে ২০২০ সালে বাংলাদেশ পৃথিবীর ১৩৮টি দেশের ভেতর ১২১ নম্বরে স্থান পেয়েছে। সেটা কতটুকু খারাপ সেটা বোঝার জন্য এইটুকু বলাই যথেষ্ট যে, এই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ৬টি দেশের ভেতরে বাংলাদেশ সবার পেছনে। এমনকি আমরা পাকিস্তানেরও পেছনে, যে পাকিস্তানে জঙ্গিরা মেয়েদের লেখাপড়া করতে দেবে না বলে নিয়মিতভাবে মেয়েদের স্কুল পুড়িয়ে দেয়। যে দেশে মালালা নামে একটা মেয়ের মাথায় গুলি করে তাকে নোবেল পুরস্কার পাইয়ে দিয়েছে। যে পাকিস্তান অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত, সারা পৃথিবীর একটি করুণার পাত্র, আমাদের দেশের লেখাপড়া সেই দেশ থেকেও খারাপ। স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী বার্ষিকীতে আমরা এই মুকুটটি মাথায় নিয়ে পৃথিবীর সামনে উপস্থিত হবো। এই সূচকে পৃথিবীর গড় ৪৬.৭ এবং আমাদের সূচকের মান ৩৫.৯। দেখে মনে হয় আর্তনাদ করে বলি, ‘হে ধরণী তুমি দ্বিধা হও আমি তন্মধ্যে প্রবেশ করি!’
কেউ কি অবাক হয়েছেন? অবাক হওয়ার কথা নয়, সারা পৃথিবীতে যে দেশে লেখাপড়ার পেছনে সবচেয়ে কম টাকা খরচ করা হয় আমরা সেরকম একটি দেশ। এই দেশের সরকারি প্রাইমারি স্কুলে পড়ে শুধু হতদরিদ্র ছেলেমেয়েরা। যাদের একটুখানিও টাকা পয়সা আছে তারা পড়ে ‘কিন্ডারগার্টেনে’। মাধ্যমিক স্কুলের সব ছেলেমেয়ে ঢালাওভাবে কোচিংয়ে পড়াশোনা করে বলেই তাদের যাবতীয় সৃজনশীলতা বহু আগেই শেষ হয়ে গেছে, তারা শুধু পরীক্ষার জন্য মুখস্থ করে পরীক্ষা দেয়। মাথার ভেতরে হয়তো অনেক তথ্য গিজগিজ করে, কিন্তু সৃজনশীলভাবে তারা ছোট একটি কাজও করতে পারে না। কলেজে কখনও ক্লাস হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের নিয়োগ পুরোপুরি রাজনৈতিক। তারা নিজেদের দলের লোকদের নিয়ে ব্যস্ত, ছাত্রদের ভালোমন্দ বা তাদের লেখাপড়া নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই। (যদি থাকত তাহলে বহু আগে সমন্বিতভাবে একটা ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের ওপর অত্যাচার করা বন্ধ করে দিতেন, কখনোই করোনার কালে ছেলেমেয়েদের হলে থাকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না করে তাদের পরীক্ষা দিতে ডেকে পাঠাতেন না!) অনেক নাক উঁচু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সারাদেশে ভাইস চ্যান্সেলর হওয়ার উপযোগী কাউকে খুঁজে না পেয়ে বিদেশ থেকে ভাইস চ্যান্সেলর আমদানি করেন! বিশ্ববিদ্যালয় কখনোই পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে না, যদি তারা গবেষণা না করে। আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ছাত্র পড়ানোর বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা নিয়ে সেখানে বাজেট নেই, সেটা নিয়ে কারও মাথাব্যথাও নেই।
তাহলে আমাদের দেশের লেখাপড়া যদি সারা পৃথিবীর তুলনায় সবচেয়ে খারাপ লেখাপড়া হয় অবাক হওয়ার কিছু আছে? নেই।
এর সমাধান কিন্তু কঠিন নয়, বেশ সোজা। এই দেশের সরকারকে লজ্জার মাথা খেয়ে স্বীকার করতে হবে যে, আমাদের দেশের লেখাপড়ার অবস্থা খুব খারাপ। একটা সমস্যা সমাধান করার প্রথম ধাপ হচ্ছে যে, সমস্যাটি বোঝা। আমরা যদি সমস্যাটিই বুঝতে না পারি তাহলে সেটি সমাধান করব কেমন করে? (মনে আছে, যতদিন শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্বীকার করেনি যে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে ততদিন সেই সমস্যার সমাধান হয়নি। যখন স্বীকার করেছে তখন সঙ্গে সঙ্গে ম্যাজিকের মতো সমাধান হয়েছে।) এখানেও তাই, আমরা যদি মেনে নিই যে আমাদের দেশের লেখাপড়া নিয়ে বড় ধরনের সমস্যা আছে শুধু তাহলেই এর সমাধান হবে। তা না হলে আমরা সারাক্ষণ একটার পর আরেকটা কুযুক্তি দিয়ে নিজেদের গা বাঁচিয়ে যাব, সর্বনাশ হবে এই দেশের ছেলেমেয়েদের, তার বাইরে বড় সর্বনাশ হবে দেশের।
৪.
এবারে সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং ব্যক্তিগত একটা বিষয় বলে শেষ করি। আমি ২০১৩ সাল থেকে প্রতি দুই সপ্তাহে একবার করে ‘সাদাসিধে কথা’ নাম দিয়ে পত্রপত্রিকায় লিখে আসছি, টানা আট বছর। এই দেশের প্রায় সব পত্র-পত্রিকায় সেগুলো একই দিনে প্রকাশিত হয়ে আসছে। আমার মনে হয়েছে এখন একটু বিরতি দেওয়ার সময় এসেছে। তাই সেই পত্রপত্রিকা, পোর্টাল এবং পাঠকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আপাতত নিয়মিত লেখায় বিরতি দিতে চাই।
আহমদ ছফা বেঁচে থাকলে খুশি হতেন। তিনি একেবারে চাইতেন না যে আমি ‘বুদ্ধিজীবী’ হওয়ার ভান করে পত্রপত্রিকায় কলাম লিখি! সব সময় আমাকে বলতেন, ‘তুমি বিজ্ঞানী মানুষ, লিখতে হলে বিজ্ঞান নিয়ে লিখবে, কেন বুদ্ধিজীবী সেজে কলাম লিখতে যাও?’
কিছুদিন থেকে মনে হচ্ছে আহমদ ছফা ভুল বলেননি!

শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক

আরও সংবাদ

Close