শীর্ষ খবর

মুহুর্তে ভেঙ্গে নিয়ে গেল আস্ত একটা সেতু

৩ টি সেতু ভেঙ্গে গেছে সুনামগঞ্জে। এরমধ্যে চোখের সামনে দেখতে দেখতেই মাত্র ১ মিনিটের মধ্যে পানি ভেঙ্গে নিয়ে গেল আস্ত একটা সেতু। সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের রামপুর এলাকায় বন্যার পানির চাপে একটি সেতু ভেঙে পড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ-দোয়ারাবাজার সড়কে সুরমা নদীর সংযোগ খালের উপরের এ সেতুটি ভেঙে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সেতুটি সুনামগঞ্জ-দোয়ারাবাজার উপজেলা সড়কের দোহালিয়া ইউনিয়নের রামপুর এলাকায়। এই সড়ক দিয়ে দোয়ারবাজারের মানুষ জেলা শহরে যাতায়াত করেন। আজ দুপুরে হঠাৎ করে সেতুর একপাশের সংযোগ সড়ক পানির তোড়ে ভেঙে যায়। এরপর মুহূর্তেই পুরো সেতুটি ভেঙে পড়ে।

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাত ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানির চাপে প্রথমে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেয়। পরে এক পর্যায়ে সেটি ভেঙে পড়ে।

এতে করে সুনামগঞ্জ দোয়ারাবাজারের একাংশের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে জরুরিভাবে নৌকা দিয়ে পারাপারের ব্যবস্থা করছে উপজেলা প্রশাসন।

দোহালিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘হঠাৎ করে এই পাকা ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় আমাদেরকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হবে। আমরা এই ব্রিজ দিয়ে দোয়ারাবাজার হয়ে সরাসরি ছাতক যাতায়াত করি।’

সেতুর অপর পাড়ের বাসিন্দারা এই সড়ক দিয়ে সুনামগঞ্জ যাতায়াত করেন। তাদেরও ভোগান্তিতে পড়তে হবে বলে জানান স্থানীয়রা।

যোগাযোগ করা হলে দোয়ারাবাজারের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেবাংশু কুমার বলেন, ‘আমরা সাময়িকভাবে লোকজনের যাতায়াতের জন্য নৌকার ব্যবস্থা করবো। এখন বন্যার পানি না কমলে এই সেতু মেরামত বা সংস্কার করা সম্ভব নয়। ইতোমধ্যে উপজেলা এলজিইডির পক্ষ থেকে ভেঙে যাওয়া সেতুর স্থান পরিদর্শন করেছেন।’

এদিকে, সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ছাতক-দোয়ারাবাজার সড়কের পানাইল সেতুর দুই দিকের সংযোগ সড়ক ঢলের তোড়ে ধসে গেছে। তিনি জানান, ঢলের তীব্রতায় আরও দুটি সেতু ধসে গেছে। এরমধ্যে রয়েছে তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের লামাগাঁও সেতু এবং বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার গজারিয়া রাবার ড্যামের সংযোগস্থল। রাবার ড্যামের অফিস কক্ষও ধসে গেছে।

ছাতক ও দোয়রাজার উপজেলাসহ তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর ও সুনামগঞ্জ সদরে অন্তত ২৫টি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেছে বলেও এই প্রকৌশলী জানান।

বন্যা পরিস্থিতি বিলম্বিত হলে এবং পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে আরও বড় ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এই প্রকৌশলী।

আরও সংবাদ

Close