সারা বাংলা
রোহিঙ্গাদের চাকরি দিয়ে বঞ্চিত করা হচ্ছে স্থানীয়দের : কাফন পড়ে মানববন্ধন
রোহিঙ্গাদের বাদ দিয়ে চাকরিতে নিয়োগের দাবিতে শত শত স্থানীয় বাসিন্দা ‘কাফনের কাপড়’ পড়ে দীর্ঘ সাত ঘন্টা ধরে বিক্ষোভ করেছে কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি। এসময় বিক্ষোভকারিরা সড়কে অবস্থান নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরিরত এনজিও কর্মি প্রবেশে বাধা দিয়ে ফিরিয়ে দেয়।
পরে উপজেলা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় আন্দোলনকারি ও এনজিও প্রতিনিধিদের মধ্যে ঘন্টাব্যাপী বৈঠকের পর আগামী ১০ জানুয়ারী আবারো আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত হয়। এর প্রেক্ষিতে আন্দোলনকারিরা বিক্ষোভ কর্মসূচি ওইদিন পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা দেয়।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৭ টা থেকে শহীদ এটিএম জাফর আলম আরাকান সড়কের (কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক) উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী স্টেশনে স্থানীয়রা ‘পালংখালী অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির’ ব্যানারে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করে।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পালংখালীর কয়েক শত বেকার কাফনের কাপড় পড়ে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। এক পর্যায়ে গাড়ী তল্লাশী করে ক্যাম্পে কর্মরত এনজিও কর্মিদের ফিরিয়ে দিয়ে বাধা প্রদান করে। এতে অন্তত ৩ শতাধিক এনজিও কর্মি ক্যাম্পে প্রবেশ করতে না পেরে ফিরে যায়।
পরে দুপুর ২ টায় উখিয়ার ইউএনও’র মধ্যস্থতায় আন্দোলনকারি ও এনজিও প্রতিনিধিদের মধ্যে ঘন্টাব্যাপী সমঝোতা বৈঠকের পর বিক্ষোভ কর্মসূচি আগামী ১০ জানুয়ারী পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
পালংখালী অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক রবিউল ইসলাম রবি বলেন, উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নে অবস্থিত বিভিন্ন ক্যাম্পে এনজিও সংস্থাগুলোতে অসংখ্য রোহিঙ্গাদের চাকরিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অথচ যোগ্যতা থাকা স্বত্তেও স্থানীয় বেকার যুবকদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না। উপরন্তু স্থানীয়দের মধ্যে অনেককে চাকরি চ্যুতও করা হয়েছে।
শুধুমাত্র পালংখালীস্থ ১৪ নম্বর ও ১৭ নম্বর ক্যাম্পে ২৮৬ জন রোহিঙ্গাকে চাকরি দিয়ে এমএসএফ নামের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। যাদের কারো কারো বেতন ২৪ হাজার থেকে ৭৬ হাজার টাকা পর্যন্ত। অথচ পালংখালীতে অসংখ্য যুবক বেকার থাকা স্বত্তেও এনজিও সংস্থাটি স্থানীয়দের চাকরিতে নিয়োগ দিচ্ছে না।
এ নিয়ে স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে একটি এনজিও সংস্থা প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন করেনি বলে অভিযোগ করেন রবিউল।
আন্দোলনকারি সংগঠনটির সমন্বয়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, এনজিও সংস্থাগুলোতে কর্মরত রোহিঙ্গাদের বাদ দিয়ে স্থানীয়দের নিয়োগের দাবি গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে তারা দাবি জানিয়ে আসছিল। স্থানীয়রা এ নিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি দিলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও এনজিও সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা বৈঠকের মাধ্যমে দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছিল।