শীর্ষ খবর
আগামী বছর থেকে হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন ঢাকার আশকোনা হজক্যাম্পে
আগামী বছর থেকে বাংলাদেশি সব হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন ঢাকার আশকোনা হজক্যাম্পে সম্পন্ন করা হবে। এ লক্ষ্যে আশকোনা হজ ক্যাম্প সম্প্রসারণ ও সংস্কার কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ।
মক্কা রুট ইনেসিয়েটিভ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জন্য এ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সৌদি আরবে গিয়ে হজযাত্রীদের আর ইমিগ্রেশন করতে হবে না। আগের মতো ভোগান্তি থেকেও রক্ষা পাবেন তারা। ধর্মমন্ত্রণালয় সূত্র এসব তথ্য জানায়।
জানা গেছে, হজযাত্রীদের ভোগান্তি এড়াতে ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে রুট টু মক্কা কর্মসূচি চালু করে সৌদি সরকার। গতবার এ কর্মসূচির অধীনে বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক হজযাত্রী সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন জেদ্দার পরিবর্তে ঢাকায় সম্পন্ন করেন। আগে হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন হতো সৌদি আরবের জেদ্দায়। আর সেখানে হওয়ার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হতো বাংলাদেশি হজযাত্রীদের।
জানা গেছে, ২০২০ সালে বাংলাদেশি সব হজযাত্রীদের সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে যাতে সম্পন্ন করা যায় সেজন্য ঢাকার আশকোনা হজক্যাম্প সম্প্রসারণ ও সংস্কার করা হচ্ছে। সংস্কারকাজ এগিয়ে নিতে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে রোববার সকাল ১১টায় আশোকনা হজক্যাম্পে ‘হজ ক্যাম্প সম্প্রসারণ ও সংস্কার কার্যক্রম’ সংক্রান্ত এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ২০২০ সালে বাংলাদেশের সকল হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন যাতে ঢাকায় করা যায় সেজন্য আশকোনার হজ ক্যাম্পের সম্প্রসারণ ও সংস্কার কার্যক্রম শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। ২০০৯ সালে যেখানে বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল ৫৮ হাজার ছয়শ’ ২৮ জন, ২০১৯ সালে হজযাত্রীর সংখ্যা এক লক্ষ ২৬ হাজার ৯২৩ জনে বৃদ্ধি পায়। এ বছর রাজকীয় সৌদি সরকারের ‘রুট টু মক্কা’ কর্মসূচির অধীনে প্রায় অর্ধেক হজযাত্রী সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন জেদ্দার পরিবর্তে ঢাকায় সম্পন্ন করেছেন। করছি ২০২০ সালে সকল হজযাত্রীকে এ কর্মসূচির অধীনে আনতে পারব, ইনশাআল্লাহ।’
শেখ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘ভবিষ্যতে বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাবে একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত কার্যক্রমও বাড়বে। তাই এখন থেকে হজ ক্যাম্প সম্প্রসারণ ও সংস্কার সংক্রান্ত কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রয়োজন। ২০১৯ সালে মোট ৩৬৬টি হজ ফ্লাইট পরিচালিত হয়। সৌদি এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে পরিচালিত হজযাত্রীদের মধ্যে যারা হজ করতে গেছেন তাদেরকে লাগেজ ট্যাগ গ্রহণ ও ইমিগ্রেশন নিয়ে বিড়ম্বনার সম্মুখিন হতে হয়েছে। তাই ২০২০ সালের সকল হজযাত্রীদের বাংলাদেশ অংশের ইমিগ্রেশন হজ ক্যাম্পে করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ’
সভায় ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমান, হজ অফিস, ঢাকা, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ, পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর, গণপূর্ত অধিদপ্তর, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, হজ্জ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এবং অন্যান্য প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।