সারা বাংলা

ট্রাফিক বিভাগের ইশরাতের ভয়ংকর প্রতারণা

নাম ইশরাত জাহান চৌধুরী। চট্টগ্রাম বন্দরের ট্রাফিক বিভাগে উচ্চমান সহকারী হিসেবে কর্মরত। তিনি বেকার যুবকদের জন্য এক ভয়ংকর প্রতারক। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে চট্টগ্রাম বন্দরে কর্মরত ইশরাত জাহান চৌধুরী বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন। ইশরাত জাহান চট্টগ্রাম বন্দরের ট্রাফিক বিভাগে উচ্চমান সহকারী হিসেবে কর্মরত। প্রতারণার তথ্য জানার পর তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ইশরাত জাহান বিভিন্ন ব্যক্তিকে বন্দর, কাস্টমস, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, কখনও বা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিভিন্ন পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখান। গত এক বছর ধরে তিনি ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, ভুয়া ইন্টারভিউ কার্ড, ভুয়া নিয়োগপত্র ও আইডি কার্ড দেখিয়ে ১০/১২ জন বেকার যুবকের কাছ থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

প্রতারণার শিকার সুব্রত নাথ, রাজন মহাজনসহ কয়েকজন বলেন, ইশরাত জাহান বিশ্বাস অর্জনে কখনও চেক দিয়ে, কখনও স্ট্যাম্পে চুক্তি করে টাকা নিয়েছেন। কারও কাছ থেকে দুই লাখ, কারও কাছ থেকে পাঁচ লাখ, কারও কাছ থেকে আবার ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছেন এই নারী কর্মচারী। পরে ইশরাত জাহানের দেখানো নিয়োগপত্র ভুয়া ও প্রতারণার বিষয়টি টের পেয়ে তিনজন আদালতে মামলা করেছেন। একটি মামলায় আদালত ইশরাত জাহানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (প্রশাসন) জাফর আলম রাইজিংবিডিকে বলেন, ইশরাত জাহানের প্রতারণার বিষয়টি জেনে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এই ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

ইশরাত জাহানের বক্তব্য নিতে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম নগরীর গোসাইলডাঙ্গা এলাকায় তার বাসা তালাবদ্ধ রয়েছে।

আরও সংবাদ

আরও দেখুন

Close
Close