আজকের সিলেটহবিগঞ্জ
হবিগঞ্জে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই ছাত্রদলের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ : আহত অর্ধশত
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে মতবিনিময় সভায় কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এতে পথচারীসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ সময় ৭টি মোটরসাইকেল ও আসবাবপত্র এবং ১টি দোকান ভাঙচুর হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে থানার ওসি মো. আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ সময় ছাত্রদলের বিবদমান গ্রুপের কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় নবীগঞ্জ শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সংঘর্ষ এড়াতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জানা যায়, আজ সোমবার শহরতলীর ছালামতপুর হাজারী কমিউনিটি সেন্টারে নবীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ সভাপতি ওমর ফারুক কাওসার। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক আরিফ ও বিশেষ অতিথি ছিলেন সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জামিল হোসেন ও রায়হান উদ্দিন।
সভার শুরুতেই ছাত্রদল নেতা জহিরুল ইসলাম সোহেলের গ্রুপের নেতাকর্মীরা চেয়ার দখলে নেয়। পরে রায়েছ চৌধুরীর নেতৃত্বে তার গ্রুপের নেতাকর্মী অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে বসার জায়গা না পেয়ে উত্তেজিত হয়ে উঠেন। এ সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়।
কেন্দ্রীয় নেতারা অনুষ্ঠানে আসলে উত্তেজনা আরো বেগতিক হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে সেন্টারের ভিতরেই চেয়ার নিয়ে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা মারামারি শুরু করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষই দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
গুরুতর আহতরা হলেন- জুলন মিয়া (২৩), পাবেল মিয়া (২৭), শরীফুল ইসলাম জুনেদ (২৮), সাইফুর রহমান বাবু (২৩), মুছন মিয়া (২৫) ও মহিম উদ্দিন (৭২)।
খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শরীফ আহমেদ আবিদ ও জুয়েল মিয়া নামের ২ জনকে আটক করে।