শীর্ষ খবর
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে আইনি নোটিশ
দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সংশ্লিষ্টদের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিবসহ ছয় জনকে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার।
করোনা মহামারি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে এ নোটিশ দেয়া হয়েছে। এতে নোটিশ পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত বাতিল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও প্রচার করার অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
একইসঙ্গে নোটিশে করোনাকালীন পুরো সময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে যৌথ কমিটি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে অনলাইনে শতভাগ ক্লাস নেয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর সারাদেশের সব স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখতে আরেকটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। রেজিস্ট্রি ডাকযোগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সচিব, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা সচিসহ ছয়জনকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার।
নোটিশে বলা হয়, করোনা মহামারি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অনলাইলে নিয়মিত পাঠদানের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান যদি খুলতেই হয় তাহলে সপ্তাহে একদিন শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সশরীরে পাঠদান এবং চলতি বছর থেকে পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষা বাতিল করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রচার ও প্রকাশ করবেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কারণে যদি কোনো শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক কিংবা কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হন তাহলে সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটলে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়াসহ ওই পরিবারের দায় সরকারকে বহন করার গণবিজ্ঞপ্তি প্রচার ও প্রকাশ করতে পদক্ষেপ নেবেন। সাতদিনের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে অন্যথায় হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি সারাদেশের সব স্কুল-কলেজ খুলে দিতে সরকারকে আরেকটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, করোনার কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে দফায় দফার বন্ধ বাড়িয়ে চলতি মাসের ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়।