শীর্ষ খবর

একদিনে একই অঞ্চলে এতো ভূমিকম্প দেশের ইতিহাসে প্রথম

সিলেট অঞ্চলে আজ (শনিবার) স্বল্পমাত্রার ৯ টি ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। স্বল্পমাত্রার হলেও প্রতিটি ভূমিকম্প বুঝতে পেরেছেন সিলেটবাসী। এতে তাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। একদিনে একই অঞ্চলে এতো ভূমিকম্প হওয়ার ঘটনা দেশের ইতিহাসে এই প্রথম।

শনিবার (২৯ মে) সন্ধ্যায় ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম  বলেন, ‘দেশের ইতিহাসে এর আগে একই অঞ্চলে একদিনে এত ভূমিকম্প হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেনি। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ভূমিকম্প ওখানেই হয়েছিল। ২০২০ সালের এপ্রিলে সিলেট অঞ্চলে আরেকটা ভূমিকম্প হয়েছিল। এগুলো মাইনর বা ছোট মাত্রার ভূমিকম্প।’

আজ শনিবার  সকাল ১০টা ৩৭ মিনিটে হয় প্রথম কম্পন। ভূমিকম্পের রিখটার স্কেল ছিল ৩ দশমিক শূন্য। দ্বিতীয় ঝাঁকুনি ১০টা ৫০ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডে রিখটার স্কেলের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। তৃতীয় মৃদু ঝাঁকুনি হয় ১১টা ৪ মিনিটে। চতুর্থ ঝাঁকুনি  ১১টা ২৯ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডে ২ দশমিক ৮।

কিছুক্ষণ থেমে ফের ভূমিকম্প শুর হয় দুপুর ২টার পর। ঠিক ২টার দিকে কয়েক মিনিট বিরতি দিয়ে পরপর ২ বার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এরপর ২টা ৬ মিনিটে এবং এর একটু পরে আরো একবার ভূকম্পন হয়। চারটিরই উৎপত্তিস্থল সিলেটের আশপাশে। ঢাকা থেকে উত্তর পূর্বে এর অবস্থান।

ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের এই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘সিলেট অঞ্চলটা একটু ভূমিকম্পের ঝুঁকির মধ্যে আছে। কেননা সেখানে ডাউকি ফল্ট আছে। বাংলাদেশের জাতীয় সীমান্তে তিনটা প্লেট আছে। সেগুলো হলো ইউরোশিয়ান প্লেট, ইন্ডিয়ান প্লেট এবং বার্মা মাইক্রো প্লেট। এই তিনটা প্লেটের সংযোগস্থল আমাদের জাতীয় সীমান্ত দিয়ে গেছে। ডাউকি ফল্ট, ভুটান, নেপাল – এই সাইটগুলোতে ভূমিকম্প কয়েক দিন আগেও হয়েছে। পঞ্চগড়ের কাছে জলপাইগুঁড়িতে কয়েক দিন আগে বেশ কয়েকটা ভূমিকম্প হয়েছে। সেটার কম্পনও বাংলাদেশে হয়েছে। একইভাবে ভুটানের ভূমিকম্পের কম্পনও বাংলাদেশে হয়েছে। সিলেট অঞ্চলে ডাউকি ফল্ট আছে, এখানেও ভূমিকম্পের সম্ভাবনা অনেক বেশি। আবার পূর্বাঞ্চলের সেগিং ফল্টের দিকেও ভূমিকম্পের সম্ভাবনা আছে। এই প্লেট বাউন্ডারিগুলো সবই আমাদের খুবই কাছে। সে কারণে এভাবে ভূমিকম্পগুলো হয়ে থাকে।’

আরও সংবাদ

Close