প্রবাস
বিয়ানীবাজার পৌর উন্নয়ন সংস্থা ইউকে’র প্রকাশিত সংবাদের সঙ্গে ভিন্নমত
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিয়ানীবাজার পৌর উন্নয়ন সংস্থা ইউকের সভাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রকাশিত ঐ সংবাদে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্যসম্বলিত বিষয়ে আমাদের নাম জড়িয়ে প্রকৃত সত্যকে আড়ালের চেষ্টা করা হয়েছে। তাই আমরা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার লক্ষ্যে এবং নৈতিক দায়িত্ব বোধ থেকে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করছি।
”বিয়ানীবাজার পৌর উন্নয়ন সংস্থা ইউকের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সভা ৩১ অক্টোবর” শিরোনামে প্রকাশিত ঐ সংবাদে বলা হয়, সংগঠনের ১৮ সদস্যের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির এক সভা মঙ্গলবার ১৯ অক্টোবর পূর্ব লন্ডনের ক্যানন স্ট্রিটে অনুষ্ঠিত হয়। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, ঐ সভা থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন পরিচালনা পরিষদ গঠন করা হয়।
আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, ১৮ সদস্যের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ঐ সভা কোনোভাবেই সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সভা ছিলো না বরং এটি ছিলো বিয়ানীবাজার পৌর এলাকাকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে সক্রিয় পৃথক দুটি সংগঠনকে একীভূত করার লক্ষ্যে চলমান ঐক্য প্রক্রিয়ার ধারাবাহিক বৈঠকের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত তৃতীয় সভা। সুতরাং এ সভা থেকে সম্মেলন প্রস্তুতি কিংবা নির্বাচন কমিশন গঠনের কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।
গত বছর অনুষ্ঠিত ঐক্য প্রক্রিয়ার সর্বশেষ মিংটিয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দুটি পৃথক সংগঠন যথাক্রমে বিয়ানীবাজার পৌর উন্নয়ন সংস্থা ইউকে ও বিয়ানীবাজার পৌর কল্যাণ সংস্থা ইউকের মধ্যে ঐক্যস্থাপনে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের উপর অর্পিত করা হয়েছিল। ঐ যোগাযোগের সূত্র ধরেই ঐক্য প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
অথচ ১৯ অক্টোবর পূর্ব লন্ডনের ক্যানন স্ট্রিটে অনুষ্ঠিত ঐ সভায় গিয়ে আমরা জানতে পারি, পৌর কল্যাণ সংস্থার নেতৃবৃন্দের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন ধরণের যোগাযোগ করা হয়নি। ঐক্য স্থাপনেরও কোনো চেষ্টা করা হয়নি।
সুতরাং আমরা বুঝতে পারি যে, সভাটি কোনোভাবেই ঐক্যপ্রক্রিয়ার নীতি কিংবা আদর্শকে ধারণ করছে না। প্রকৃতপক্ষে সভাটি ছিলো একপক্ষীয় এবং উদ্দেশ্যপ্রনোদিত। তাই বাধ্য হয়েই আমরা সভা বয়কট করি।
সুতরাং ঐ সভায় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি এবং ঘোষিত নির্বাচন পরিচালনা পরিষদের সাথে আমাদের বিন্দুমাত্র যোগসূত্র নেই।
আমরা মনে করি, সংবাদপত্রে প্রকাশিত ঐ সংবাদে আমাদের নাম ব্যবহার করা হয়েছে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার লক্ষ্যে।
মিথ্যার চাইতেও বেশি ভয়ংকর হচ্ছে অর্ধসত্য। নিজ ফায়দা হাসিলে আমাদের নাম ব্যবহার করে অর্ধসত্য যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এ প্রতিবাদলিপিতে স্বাক্ষরকারী হচ্ছেন বিয়ানীবাজার পৌরসভা ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট ইউকে‘র উপদেষ্টা আব্দুল মতিন খান কবির, বিয়ানীবাজার পৌরসভা ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট ইউকে‘র সহ-সভাপতি মোজাহিদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ।