শীর্ষ খবর
পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক অবস্থায় আছে : বাণিজ্য মন্ত্রনালয়
গত দুদিনের ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুণ দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। এ পরিপ্রেক্ষিতে আবারও আশ্বাসের বাণী শোনাচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ফলে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এ ছাড়া প্রতি জেলা প্রশাসন থেকেও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এলসির মাধ্যমে মিয়ানমার, মিসর ও তুরস্ক থেকে আমদানি পেঁয়াজ বন্দরে খালাস করা শুরু হয়েছে। এ ছাড়া মিয়ানমার থেকে বর্ডার ট্রেডের মাধ্যমে টেকনাফ বন্দর দিয়ে আমদানি পেঁয়াজ এবং দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকারি হাটে বিক্রির জন্য পেঁয়াজ দ্রুত সারাদেশে নির্বিঘ্নে পৌঁছে যাচ্ছে। পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক অবস্থায় আছে।’
কিন্তু বাজারে পেঁয়াজের দাম কমার বিষয়ে কিছু বলেনি মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে এলসি মার্জিন এবং সুদের হার হ্রাস করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আমদানি পেঁয়াজ দ্রুত ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খালাসের জন্য স্থল ও নৌ বন্দরগুলোয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং ফোনে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। সে মোতাবেক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমদানি পেঁয়াজ খালাস করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন হাট-বাজারে পেঁয়াজ দ্রুত ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পৌঁছানোর জন্য সরকার সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পেঁয়াজ পরিবহন নির্বিঘ্ন করার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দেশের ভোমড়া, সোনামসজিদ, হিলি এবং বেনাপোল বন্দরে পেঁয়াজ আমদানি নির্বিঘ্ন করতে সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিংয়ের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের ১০ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা আজ (১ অক্টোবর) থেকে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, যশোর, দিনাজপুর, পাবনা, সাতক্ষীরা, সিরাজগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলার বাজারগুলোয় তদারকি শুরু করেছেন।