আন্তর্জাতিকশীর্ষ খবর
কিম জং উন কি মারা গেছেন?
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের শরীরে অস্ত্রোপচারের পর তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন বলে দাবি করেছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা। মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন’কে আরেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কিমের অসুস্থতার খবর সত্য হলে তা কতটুকু গুরুতর তা নিশ্চিত নয়।
এদিকে, কিম জং উন কি বেঁচে আছেন, নাকি মারা গেছেন- এনিয়ে নানা জায়গায় নানা আলোচনা চলছে। উত্তর কোরিয়ার খবরগুলো সাধারণত বাইরে আসে না বলে বিশ্বের কোন গণমাধ্যমই এ সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য জানাতে পারছে না। তবে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন মারা গেছেন বলে দাবি করেছে রাষ্ট্র সমর্থিত হংকং টিভি। চ্যানেলটির উপপরিচালক এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
হংকং টিভি কিম জং উনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ করলেও এনিয়ে উত্তর কোরিয়ার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতেও নিরপেক্ষ কোন তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
এইচকেএসটিভি হংকং স্যাটেলাইট টেলিভিশনের একজন উপপরিচালক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ওয়েইবোতে তার এক কোটি ৫০ লাখ অনুসারীকে জানিয়েছেন ‘নিরেট উৎস’ থেকে তিনি এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন। গুজব রয়েছে কিম জং উনের করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে। কেউ বলছেন, অন্য অসুস্থতায় মারা গেছেন। তবে কোন ধরনের অসুস্থতায় কিমের মৃত্যু হয়েছে তা তিনি নিশ্চিত করেননি।
গত ১৫ এপ্রিল দাদার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি কিম জং উন। এরপর থেকেই তার অসুস্থতা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। এর চারদিন আগে এক সরকারি বৈঠকে তাকে সর্বশেষ জনসম্মুখে দেখা গিয়েছিল।
দক্ষিণ কোরিয়া ভিত্তিক অনলাইন সংবাদমাধ্যম ডেইলি এনকে’র দাবি, গত ১২ এপ্রিল কিমের হৃদযন্ত্রের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তাকে বর্তমানে হায়াংসান কাউন্টির একটি বাড়িতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
অতিরিক্ত ধূমপান, স্থূলতা ও অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে তার হৃদরোগ দেখা দিয়েছে বলে দাবি ওই সংবাদমাধ্যমটির।
ডেইলি এনকে জানিয়েছে, কিমের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তার অস্ত্রোপচার করা মেডিকেল টিমের বেশিরভাগ সদস্যই গত ১৯ এপ্রিল পিয়ংইয়ং ফিরে গেছেন। শুধু অল্প কয়েকজন পর্যবেক্ষণের জন্য তার পাশে রয়েছেন।
তবে এ খবরের সত্যতা এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি সিএনএন। তারা মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ, ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল, সিআইএ, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করলেও কেউই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।